১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধকালীন বাংলাদেশের অস্থায়ী রাজধানী হিসেবে মেহেরপুরের ভূমিকা ইতিহাসে উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। সবুজে ঘেরা এই জনপদের ঐতিহাসিক গুরুত্ব অপরিসীম। প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরা বৃক্ষসিঞ্চিত পরিবেশ, প্রাণবন্ত সামাজিক সহাবস্থান, সাংস্কৃতিক চর্চা এবং সামাজিক কর্মকাণ্ড মেহেরপুরকে করেছে অনন্য বৈশিষ্ট্যমণ্ডিত।

ঢাকায় বসবাসরত মেহেরপুর জেলার নানা পেশা, ধর্ম, বর্ণ ও কিছু বিজ্ঞ ব্যক্তিবর্গের উদ্যোগে ১৯৯৯ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় মেহেরপুর জেলা সমিতি, ঢাকা। প্রতিষ্ঠার পর থেকেই এই সংগঠন নিরলসভাবে শিক্ষা, সংস্কৃতি, চিকিৎসা, সামাজিক কল্যাণ এবং পারস্পরিক সম্প্রীতি বৃদ্ধির লক্ষ্যে কাজ করে আসছে।

আমি এই মহৎ যাত্রায় অংশ নিতে পেরে গর্বিত। সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে আমি কৃতজ্ঞতা জানাই সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য, উপদেষ্টা, সকল সাবেক সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকসহ প্রত্যেক সদস্যের প্রতি যাদের অক্লান্ত পরিশ্রম ও ঐকান্তিক প্রচেষ্ঠার ফসল আজকের মেহেরপুর জেলা সমিতি।

আমাদের লক্ষ্য শুধু ঐতিহ্য রক্ষা নয়, বরং আধুনিক প্রযুক্তি, শিক্ষা বিস্তার, সামাজিক কল্যাণ এবং মানবিক মূল্যবোধের বিকাশ ঘটিয়ে প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে একটি উন্নত, সমৃদ্ধ মেহেরপুর গড়ে তোলা।

আমি বিশ্বাস করি—সবার আন্তরিক সহযোগিতা, ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টা এবং ইতিবাচক অংশগ্রহণের মাধ্যমে মেহেরপুর জেলা সমিতি ভবিষ্যতে আরও শক্তিশালী ও কার্যকর ভূমিকা রাখতে সক্ষম হবে।

আসুন, আমরা সকলে হাতে হাত মিলিয়ে মানবিকতা, সহযোগিতা ও কল্যাণের মহৎ চর্চা অব্যাহত রাখি। আমাদের ঐতিহ্যের মর্যাদা রক্ষা করি এবং নতুন প্রজন্মের কাছে একটি আলোকিত মেহেরপুর উপহার দিই।

আন্তরিক শুভেচ্ছা ও ধন্যবাদান্তে—

দাতা প্রকৌশলী একরামুল হক
সভাপতি
মেহেরপুর জেলা সমিতি, ঢাকা